রাজনীতিকের ব্যক্তিগত তথ্য কি প্রকাশ্যযোগ্য?
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রত্যেক প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনে মনোয়নয়নপত্রের পাশাপাশি হলফনামা জমা দিতে হয়। এতে প্রার্থীর শিক্ষা, পেশা, আয়, সম্পদ, দায়, ঋণ, মামলা, নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ থাকে। হাই কোর্টের এক রায়ের ফলে ২০০৮ সাল থেকে প্রার্থীদের তথ্য-সম্বলিত হলফনামা সবার জানার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন তার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করছে। যে কোনো ব্যক্তি কমিশনের ওয়েবসাইটে এসব হলফনামা পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারেন।
কেন এই তথ্যভাণ্ডার
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের হলফনামাগুলি হুবহু প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ প্রার্থী হাতে লেখা বা কম্পিউটার কম্পোজ – যে আঙ্গিকে কমিশনে জমা দেন সেটি সেভাবেই কমিশনের ওয়েবসাইটে পিডিএফ ফাইল আকারে প্রকাশ হয়। ফলে সাংবাদিক/গবেষক/আগ্রহী ব্যক্তি সহজে এসব হলফনামার তথ্য নিজেদের প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে পারেন না। অ্যাক্সেসিবিলিটির সেই বিপত্তি দূর করে তথ্যগুলিকে চাওয়া-মাত্র-ব্যবহারের উপযোগী করে প্রকাশ করার লক্ষ্যে এই তথ্যভাণ্ডারটি তৈরি হয়েছে।
তথ্যের উৎস কী
এই তথ্যভান্ডারে সংকলিত সব তথ্যের উৎস বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। তাদের ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের নির্বাচনী হলফনামা এবং নির্বাচনী প্রতিবেদনের তথ্য ব্যবহার করে এই তথ্যভাণ্ডারটি তৈরি করা হয়েছে। কমিশনের ওয়েবসাইটে এসব তথ্য পিডিএফ ফাইল আকারে সবার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
তথ্যভাণ্ডারটি তৈরি করেছে কারা
তথ্যভান্ডারটি তৈরি করেছে ডেটাফুল। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ের ডেটা সবার জন্য চাওয়া-মাত্র- ব্যবহারের উপযোগী করে তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকে যা বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়।
সীমাবদ্ধতা
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ১২ জন প্রার্থীর হলফনামা পাওয়া যায়নি। এছাড়া কোনো কোনো প্রার্থীর হলফনামার কোনো কোনো অংশের তথ্য অস্পষ্ট, ফলে সেগুলি এই তথ্যভাণ্ডারে যুক্ত করা যায়নি।